সংবাদ

আগামী ৩ এপ্রিল বাংলাদেশে পবিত্র শবে মেরাজ

মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিত হবে ২ এপ্রিল

বাংলাদেশের আকাশে আজ নতুন চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী ৯ মার্চ শনিবার শুরু হবে হিজরি সনের ৭ম মাস রজব। সেই অনুযায়ী আগামী ৩ এপ্রিল বুধবার (২৬ রজব) পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে অনুষ্ঠেয় সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ।

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সমূহ এবং ইউরোপ-আমেরিকায় আগামী ৮ মার্চ শুক্রবার রজব মাস আরম্ভ হবে। সে হিসেবে এ দেশগুলোতে আগামী ২ এপ্রিল মঙ্গলবার (২৬ রজব) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মিরাজ পালিত হবে।

নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর নবুওয়াত লাভের একাদশ বর্ষের রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে মহান আল্লাহর বিশেষ মেহমান হিসেবে ফেরেশতা জিবরাইল (আ) এর সাথে মক্কা শরীফের মসজিদে হারাম থেকে জেরুযালেমের মসজিদে আকসা হয়ে সাত আসমান পরিভ্রমণ করে আরশে আজিমে আরোহণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কাছে এ রাত অতি পবিত্র ও মহান আল্লাহর অফুরন্ত রহমত-বরকতে সমৃদ্ধ। পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ঈসরাইল ও সূরা নজমের আয়াতে, তাফসিরে এবং সব হাদিস গ্রন্থে মিরাজের ঘটনার বর্ণনা রয়েছে।

মুসলিম বিশ্বের কাছে এ রাতের তাৎপর্য অপরিসীম। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ মাহফিল, দিনভর নফল রোজা রাখা ও নফল নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে মুসলমানরা শবে মিরাজ পালন করেন।

পবিত্র এই রাতে হযরত জিবরাঈল (আ:)-এর সাথে নবীজী প্রথমে বায়তুল্লাহ শরীফ থেকে বোরাকে চড়ে বায়তুল মুকাদ্দাস গমন করেন। সেখানে হযরত আদম (আ:) সহ অন্যান্য নবীদের নিয়ে মহানবী (সা:) দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন। তারপর সেখান থেকে তিনি এই রাতেই সপ্তম আকাশ পেরিয়ে সিদরাতুল মুনতাহায় উপনীত হন। এরপর রফরফ নামক বাহনে চড়ে আল্লাহ প্রিয় হাবিব মহান প্রভুর অনুগ্রহে আরশে আজিমে পৌঁছেন।

আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ ও সরাসরি কথোপকথন শেষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন বিশ্বনবী।

Related Articles