প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: কারো হায়াত বৃদ্ধির জন্য দুআ করলে হায়াত কি বৃদ্ধি পায়? যেহেতু আমরা জানি মানুষের হায়াত-মউত আগ থেকেই নির্ধারিত করা হয়ে থাকে?
উত্তরঃ
হাদিস শরীফে বিভিন্ন আমলে এবং দুআর মাধ্যমে হায়াত বৃদ্ধি হওয়ার কথা এসেছে।
যেমন: হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি প্রিয় নবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি রিজিকের প্রশস্ততা ও আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’
(বুখারি, হাদিস নং : ৫৫৫৯, ৫৫২৭)
অন্য হাদীসে এসেছেঃ
لَا يَرُدُّ القَضَاءَ إِلَّا الدُّعَاءُ، وَلَا يَزِيدُ فِي العُمْرِ إِلَّا البِرُّ
দুআ ছাড়া তাকদীর পরিবর্তন হয় না এবং নেক আমল ছাড়া হায়াত বৃদ্ধি হয় না। (সুনানে তিরমিযী : ২১৩৯)
এখন প্রশ্ন আসতে পারে আমরা যে দোয়া করি হায়াত বাড়ানোর জন্য কিংবা নেক আমলের মাধ্যমে হায়াত বাড়ার কথা বলা হয়েছে সেটা কিভাবে সম্ভব কেননা আমাদের হায়াত তো আমাদের জন্মের আগেই লিখা হয়ে গেছে তো নতুন করে কি আবার বাড়ানো হয়?
এর উত্তরে উলামায়ে কিরামগণ হায়াত বৃদ্ধির দুরকম ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
১) আল্লাহ তাআলা হায়াত বৃদ্ধি করেন না বরং হায়াতে বরকত দান করেন। যার কারণে অল্প সময়ে অনেক বেশী সৎকর্ম করা সম্ভব হয়। যার ফলে হয়তো কেউ ৭০ বছরের আমল ৫০ বছরেই করে ফেলতে পারে।
২) কোন কোন আলেম এর ব্যাখ্যায় বলেন, আল্লাহ তাআলা লাওহে মাহফুযে প্রত্যেকের একটি নির্দিষ্ট সময় লিপিবদ্ধ করেছেন আর ফিরিশতারাও তা জানেন। কিন্তু মহান আল্লাহ তার অসীম জ্ঞানে রেখে দিয়েছেন যে, উমুক ব্যক্তি যদি আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক রাখে বা কেউ তার জন্য হায়াত বৃদ্ধির দুআ করে তাহলে তার লিখিত হায়াত বৃদ্ধি করে দিবেন। আর তিনি অবশ্যই জানেন যে, এটা ঘটবে। যেমন, কারও বয়স লেখা আছে ৫০ বছর। কিন্তু মহান আল্লাহ তার জ্ঞানের মধ্যে রেখেছেন যে, অমুক ব্যক্তি তার জন্য দুআ করবে আর তার কারণে তা আরও ২০ বছর বৃদ্ধি করা হবে।
আল্লাহ তাআলা এ বিষয়ে ভালোই জানেন।
জাযাকাল্লাহ খাইর