বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদ্রাসায় আমার পদচারণা ১৯৯৬ সালে প্রাইমারি স্কুল থেকে ক্লাস ফাইভ পাশ করার পর। সাধারণতঃ আমাদের সময়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই প্রাইমারি স্কুলে ক্লাস ফাইভ পাশ করে আবার মাদ্রাসাতে গিয়েও ক্লাস ফাইভে ভর্তি হতেন। আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয় নি। ৫ম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে ৬ মাস পরে প্রথম সাময়িক পরীক্ষার পর খবর আসলো আমি প্রাইমারি স্কুলের ৫ম শ্রেণির সরকারী বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। এর পুরস্কার স্বরূপ ৬ষ্ট থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত আমার সকল মাদরাসা ফি, বই-পুস্তক সব ফ্রি করে দেয়া হলো। তিন মাস পরপর শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হত। সরকারী বিধি অনুযায়ী সে বছরই আমাকে ৬ষ্ট শ্রেণিতে প্রমোশন দেওয়া হলো, ফলে শেষ ৬ মাস আমি ৬ষ্ট শ্রেণিতে অধ্যয়ন করি। ফুলতলী কামিল মাদরাসা জীবনের শুরুতে এই স্মৃতিগুলো বড়ই সুখময়।
আমার আব্বা মরহুম মাওলানা আবদুস সালাম খান (রহ.) আটগ্রাম আমজদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এবং পরবর্তীতে চান্দাইরপাড়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সুপারিন্টেন্ডেন্ট থাকা অবস্থায় শৈশবে তাঁর সাথে মাঝে মাঝে মাদ্রাসা পরিদর্শনের সুযোগ হয়। তাঁর প্রতি ছাত্রদের শ্রদ্ধা, শিক্ষকদের আন্তরিকতা, এলাকাবাসীর ভালোবাসা ইত্যাদি বিষয় আমার কচি মনে দাগ কাটে। জীবনের লক্ষ্য হিসেবে মাদ্রাসাতে অধ্যয়ন করা এবং আলেম হওয়ার আকাঙ্ক্ষা তখন থেকেই আমার মনে জাগ্রত হয়।
আরেকটি সুখকর স্মৃতি মাদরাসায় যেতে আমাকে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের এলাকায় ফুলতলী মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী লজিং থাকতেন যাদের অনেকে ফাযিল-কামিলে অধ্যয়ন করতেন। প্রতিদিন সকাল-বিকালে কাঁধের উপরে বড় বড় ভারী ভারী কিতাব বহন করে তাঁরা আমাদের বাড়ি কিংবা স্কুলের পাশ দিয়ে মাদ্রাসায় যেতেন। সেই মধুর দৃশ্য দেখে অভিভুত এবং ঈর্ষান্বিত হতাম, তাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকতাম, অনেক সময় তাঁদের পেছন পেছন হাটতাম। একদিন আমিও এরকম কিতাব বহন করে মাদরাসায় যাব, সেই সুখস্বপ্নে বিভোর হয়ে যেতাম।
বড় ভাই মাওলানা নজমুল হুদা খান ফুলতলী মাদরাসা ছাত্র সংসদের সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে মাসিক দেয়ালিকা ‘আল মানার’ সম্পাদনা করতেন। মাওলানা আহমদ কামাল পাশা ভাইয়ের আর্ট এবং আমার ভাইয়ের সুন্দর হস্তলিপিতে আল মানারে যখন অনেকের লেখা ছড়া-কবিতাগুলোকে ভালোবাসার ফুলঝুরিতে ফুটিয়ে তুলতেন পাশে বসে সেই দৃশ্যগুলো অবলোকন করে আমিও একদিন এই ‘আল মানারে’ ছড়া-কবিতা লেখব, এই সুখস্বপ্ন দেখতাম।
ফুলতলী মাদ্রাসার এনামী জলসা এবং বার্ষিক জলসার সপ্তাহ খানেক আগে থেকে ধবধবে সাদা পাঞ্জাবী-পাজামা পরিহিত মাদরাসার শিক্ষার্থীরা যখন মাদরাসার প্যান্ডেল তৈরীর জন্য আমাদের বাড়িতে এসে বাঁশ সংগ্রহ করতেন, আম্মার নির্দেশে বাঁশ ঝাড় দেখিয়ে সবচেয়ে সুন্দর বাঁশটি নেওয়ার জন্য উনাদেরকে দেখিয়ে দিতাম, সেই সময় নিজেকেও একদিন এরকম ফেরেশতাদের মত সাদা পোষাকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাঁশ সংগহে অংশ নেওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। ডেকোরেটার্স এর আবিষ্কারের ফলে অনেকের কাছে এই বিষয়গুলো কল্প-কাহিনীর মত মনে হতে পারে।
মাদরাসায় ভর্তি হওয়া আমার কচি মনে ছিল একটি স্বপ্ন পূরণের মত। মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার আগেই বড় ভাইয়ের নির্দেশনায় মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার নেশায় মাদরাসার ৫ম শ্রেণীর ‘মিযানুস সরফের’ বেশ কয়েকটি ‘গর্দান‘ মুখস্থ করে ফেলি। মাদরাসাতে আসার পর সিনিয়র ভাইদের প্রতি জুনিয়রদের শ্রদ্ধা-ভক্তি আমাকে আলোড়িত করে, যেটা এখন ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে পাওয়াও দুষ্কর হয়ে গেছে।
ফুলতলী মাদরাসা কেবল একটি দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নয়, বহুমুখী প্রতিভা বিকাশের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে আমার মত অসংখ্য শিক্ষার্থীদের জন্য। মাদরাসার মাসিক দেয়ালিকা ‘আল মানারে’ লেখা প্রকাশের আগ্রহে ছড়া-কবিতা চর্চা কিংবা সাহিত্য বার্ষিকী ‘গুলজার’ এ ছড়া-কবিতা কিংবা প্রবন্ধ ছাপা হওয়ার আগ্রহে অনেকেই সাহিত্য চর্চায় হাতেখড়ি পেয়েছেন। মাসিক দেয়ালিকা দেয়ালে টানানোর পরে তা পাঠ করার জন্য শ্রেণীকক্ষে উসখুস করা এবং শিক্ষক বের হতে না হতেই প্রতিযোগিতা করে দৌঁড়ে গিয়ে তা পাঠ করা, অনেকগুলো সুখকর স্মৃতির একটি।
আমার ক্লাসমেইটদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন সাহিত্যপ্রেমী, ছড়া-কবিতা চর্চাকারী। সারা মাসে একটি মাত্র দেয়ালিকা প্রকাশনার অপেক্ষায় যেন আমাদের তর সইতনা। ফলশ্রুতিতে সপ্তম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায়ই আমাদের ক্লাস ভিত্তিক একটি সাহিত্য সংগঠন আমরা গড়ে তুলি এবং নিয়মিত দেয়ালিকা প্রকাশনা আরম্ভ করি। ‘আল হিলাল সাহিত্য পরিষদ’ নামে সাহিত্য সংগঠনের তত্বাবধানে মাসিক দেয়ালিকা ‘আল হিলাল’ প্রকাশনা করি আমরা। সহপাঠি আবদুল হাকিমের মনকাড়া শৈল্পিক আর্ট এবং আমার সম্পাদনায় প্রতি মাসে ‘আল হিলাল’ প্রকাশ করতাম আমরা। সহপাঠিদের অনেকেই আজ জীবন-জীবিকা আর খিদমতের টানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন সারা পৃথিবীতে। এর মধ্যে কেউ কেউ আবার পাড়ি জমিয়েছেন পরপারে। তন্মধ্যে ৭ম বা অষ্টম শেণীতে থাকাবস্থায় হারিয়েছিলাম ক্লাসের সবচেয়ে হাসি-খুশি, কৌতুককারী সহপাঠি পলাশপুরের শহীদুল ইসলামকে। ছাত্রজীবনের অনেক স্মৃতি মনে না থাকলেও শহীদুলের কৌতুকগুলো এখনো ভুলি নি।
প্রত্যেক বৃহস্পতিবার বাদ যুহর অনুষ্ঠিত হত ছাত্র সংসদের উদ্যোগে ‘সাপ্তাহিক সভা’, যেখানে বিভিন্ন শিক্ষার্থীগন সকল শিক্ষার্থীর সামনে কিরাত, হামদ, নাত, বক্তৃতা, বিতর্ক ইত্যাদিতে অংশ নিতেন। আমার মত অনেকেরই বক্তব্য প্রদানের প্রশিক্ষণ এবং মানুষের সামনে কথা বলার হাতেখড়ি হচ্ছে এই সাপ্তাহিক সভা। মাদরাসার প্রথম জীবনে সাপ্তাহিক সভায় উপস্থিতি, বিতর্কে অংশগ্রহণ কিংবা বড় ভাইদের বিতর্কগুলো যে আনন্দ দিত, পরবর্তীতে মাদরাসার এজিএস বা জিএস এর দায়িত্ব পালন করেও সাপ্তাহিক সভার সেই আনন্দ আর খোঁজে পাই নি।
মাদরাসার ছাত্র সংসদ এবং তালামীযে ইসলামিয়ার উদ্যোগে পালিত পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী, আশুরা, মহররম, ফাতেহা ইয়াজদাহাম, হযরত শাহজালাল (রহ.) এর ওফাত দিবস, শবে মিরাজসহ বিভিন্ন দিবসে উদযাপিত মাহফিলগুলো হয়ে উঠত শিক্ষার্থীদের জন্য একেকটি উৎসবে। বিশেষ করে পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী উপলক্ষে র্যালি নিয়ে ভোর বেলা সূর্য় ওঠার আগেই মাদরাসা থেকে খালি পায়ে হেটে হেটে প্রায় দুই মাইল দূরে আল্লামা গোটারগ্রামী (রহ.) এর মাযার পর্যন্ত যাওয়া এবং আসা, সহপাঠি শরীফ-শাহিদসহ আরো অনেকের সুললিত কন্ঠে ‘শামসুদ্দোহা আস সালাম’ আর ‘সালাম সালাম নবী সালাম সালাম’ এর সেই ধ্বণি এখনো যেন কানে বাজে।
ছোট বেলা থেকেই গল্প-কাহিনী-জীবনী পড়ার প্রতি অসম্ভব রকমের ঝোঁক ছিল আমার। ফুলতলী মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার পর বিড়ালের শুটকির ভাড়ের মতই যেন মাদরাসার বিশাল পাঠাগার আমার জন্য এক দিগন্তের দোয়ার খুলে দিল। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ছিল বই নেওয়ার দিন। ঝকঝকে আলমারিতে তাকে তাকে সাজানো বইগুলো যেন হাতছানি দিয়ে ডাকত। জুহরের আগেরই দেওয়া লাগত বইয়ের নাম। সাপ্তাহিক সভা শেষ হলেই বই রেডি করে রাখা হতো সকলের চাহিদা অনুযায়ী। সকলের আগে বই সংগ্রহ করার জন্য সে কী দৌঁড়! বই সংগ্রহ করেই পড়া শুরু করে দিতাম। বাড়িতে হেটে যাওয়ার পথেই পড়ে ফেলতাম অনেকটা। বাকী অংশ পাঠ্য পুস্তুক পড়ার বাহানা করে মায়ের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পড়তাম। ধরা পড়ে গেলে আম্মা বকুনি দিয়ে বলতেন, গল্প-কাহিনী পড়ার যে পরিমান আগ্রহ সে পরিমান আগ্রহ যদি পাঠ্য বই পড়ার মধ্যে হত! এক-দুই দিনের ভেতরেই ধার করা বই পড়া শেষ হয়ে যেত। ফলে বাকী দিনগুলো মনে হত অনেক লম্বা। আরেক বৃহস্পতিবার যেন মনে হত অনেক দূর।
ফুলতলী মাদরাসায় অধ্যয়নকালে সপ্তাহে সবচেয়ে সৌভাগ্যময় দিন ছিল শনি ও রবিবার। এই দুই দিন শামসুল উলামা, পীর ও মুরশিদ হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রহ.) থাকতেন বাড়িতে। সকালে হাদীস শরীফের দরস দিতেন কামিল জামাআতে। বাদ খতমে খাজেগান পরিচালনা এবং কিরাত মশক দিতেন ছাহেব বাড়ি মসজিদে। সেই মুবারক স্মৃতিগুলো অনেকের জন্যই আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে যুগ যুগ ধরে। এই দুই দিন ছাহেব কিবলাহ বাড়িতে থাকতেন বলে সকল শিক্ষার্থী ও মাদরাসার উস্তাদগণের মধ্যেও আলাদা একটি অপার্থিব অনুভুতি কাজ করত। ছাহেব কিবলাহকে এক নজর দেখার, কদমবুসি করার, দু‘আ নেওয়ার এবং মাথা পেতে ফুঁ নেওয়ার। কোন সময় ছাহেব কিবলাহ উমরাহ সফর কিংবা দেশের বাইরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক সবাই বেরিয়ে আসতেন। ছাহেব কিবলাহর সাথে মাদ্রাসার পাশ্ববর্তী কবরস্থান যিয়ারত করতেন। সে সময় ভিন্ন একটি আবেগ কাজ করত। আপন পিতাকে বিদায় দেওয়ার মতই আবেগে অনেকের অশ্রুসজল নয়ন পরিলক্ষিত হত।
মাদরাসার কোন হুযুর বা স্যারকে আমরা নাম ধরে সম্বোধন করতাম না। আমার স্বল্প সময়ের মাদরাসা জীবনে যে সকল উস্তাদ মহোদয়গণের সান্নিধ্যে আসার সৌভাগ্য হয়েছে তাঁদেরকে যে উপনামগুলো ধরে আমরা ডাকতাম সেগুলো হচ্ছে প্রিন্সিপাল হুযুর, ভাইস প্রিন্সিপাল হুযুর, মুফতী ছাব, বিয়াবালি হুযুর, আটগ্রামী হুযুর, আটগ্রামী সানী হুযুর, রাখালগঞ্জী হুযুর, কুলাউড়ী হুযুর, বিশ্বনাথী হুযুর, মঞ্জলালী হুযুর, গনিপুরী হুযুর, বেতকোনী হুযুর, পুরকা হুযুর, কান্দিগ্রামী হুযুর, বাল্লাহ হুযুর, ময়মিনসিংহী স্যার, বিশ্বনাথী সানী হুযুর, কাজী হুযুর, নাটেশ্বরী হুযুর, গন্ধদত্ত স্যার, লাইব্রেরিয়ান হুযুর, মনসুরপুরী কারী ছাব, নান্দিশ্রী কারী ছাব, বাংলা স্যার, বাবু স্যার, মৌগ্রামের স্যার প্রমুখ। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আজ দুনিয়ায় নেই। আল্লাহ পাক আমাদের সকল উস্তাদগণকে উত্তম জাযা প্রদান করুন।
বিশেষ করে মাদরাসার অধ্যক্ষ মহোদয় আমার আব্বার শৈশবের সহপাঠি হওয়ার কারণে আমাদের প্রতি সন্তানসুলভ মমতায় আমাদের আর্থিক অবস্থাকে কখনো মাদরাসার লেখা-পড়ায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেন নি। ছাহেবজাদা হযরত মুফতী ছাহেবের স্নেহ-বাৎসল্য এবং আর্থিক অভিভবাকত্ব আমার মত অনেককেই দ্বীনী শিক্ষায় এগিয়ে যেতে আলোর পথ দেখিয়েছে। আল্লাহ আমাদের এই শীরতাজদেরকে নেক ও দীর্ঘ হায়াত দান করুন এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাঁদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিন।
মাদরাসার অনেকগুলো স্মৃতির মধ্যে ময়মনসিংহী স্যারের কোন শিক্ষার্থীর কানে ধরে ‘কানার কানা চোখে দেখে না’ থেকে শুরু করে অবোধ্য ভাষায় যে বকুনিগুলি দিতেন তা হয়ত অনেককেই আজো হাসায়। ‘মাটির মানুষ’ নামে পরিচিত বিয়াবালি হুযুরের ‘তুম গলত তোমার ইমলা গলত, সরা পা গলত’ কিংবা ‘বাঙালী যঞ্জালী খোদা নেহি তরস, ওলেকিন বাঙালী গদা সে ডরস’ বাক্যগুলো জীবনে ভুলতে পারবে খুব কম শিক্ষার্থীই।
মাদরাসার শেষ জীবনে ফাযিল-কামিলে অধ্যয়নের পাশাপাশি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের ফলে সকল নিয়মিতভাবে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেও পীর ও মুর্শিদ হযরত আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী বড় ছাহেব কিবলাহ ফুলতলীর হাদীস শরীফের দরস বাদ দিতাম না কখনো। গভীর রাতের সুনসান নিরবতা ভঙ্গ করে মহান এই আশেকে রাসূলের হাদীস তেলাওয়াত এবং কল্পনার জগতে আমাদেরকে সেই সাহাবায়ে কিরামের যুগে আল্লাহর রাসূলের সামনে নিয়ে যাওয়ার সেই অপার্থিব মোহময় মুহুর্তগুলি জীবনভর দেখাবে সত্য-সঠিক পথের দিশা।
বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসা। ফুলতলী ছাহেব বাড়ি। আমার শৈশব ও কৈশোরের ভালবাসা আর স্মৃতি মিশে আছে এই প্রতিষ্ঠান, মাটি ও মানুষের সাথে। জীবনে যেখানেই যাই না কেন নাড়ীর এই টান ভুলে থাকা যায় না। ভালোবাসা আর নাড়ীর এই টান ফুটে উঠেছে কবি মুজাহিদুল ইসলাম বুলবুল এর কবিতায়:
‘আমি এখানে ওখানে যেখানে থাকি মন পড়ে রয় ফুলতলী
হায় কি জ্বালায় করে ছটফট আমার গানের বুলবুলি।’
লেখকঃ সাবেক শিক্ষার্থী, ফুলতলী কামিল মাদ্রাসা। ইমাম ও খতীব, শাহজালাল মসজিদ, ম্যানচেস্টার।