সংবাদ
মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ-আমেরিকায় ২৮শে মার্চ; বাংলাদেশে ২৯শে মার্চ পবিত্র শবে বরাত
মাগফিরাত ও মুক্তির বার্তা নিয়ে মাহে শাবান ১৪৪২ আগত

২৯শে রজব ১৪৪২ মোতাবেক ১৩ ই মার্চ ২০২১ শনিবার মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের কোথাও শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায় নি। ফলে রবিবার ৩০ রজব পূর্ণ হয়ে সৌদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শাবান মাস আরম্ভ হচ্ছে সোমবার ১৫ মার্চ থেকে। যার ফলে এসব দেশে মুবারক রাত্রি শবে বরাত উদযাপিত হবে আগামী ২৮শে মার্চ রবিবার দিবাগত রাতে।
অপরদিকে, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রবিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ১৪৪২ হিজরীর পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এজন্য সোমবার রজব মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। সেই হিসেবে আগামী ২৯ মার্চ সোমবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবেবরাত পালিত হবে।
এদিকে অ্যাস্ট্রনোমিক্যাল ক্যালকুলেশন এর ভিত্তিতে তুরস্ক, মিশর, তিউনিসিয়া ও ইরাকে শাবান মাস আরম্ভ হয়ে গেছে রবিবার ১৪ মার্চ থেকে। এসব দেশে শবে বরাত উদযাপিত হবে আগামী ২৭শে মার্চ শনিবার দিবাগত রাতে।
শাবান মাসের ১৫তম রাতে শবেবরাত পালিত হয়। লাইলাতুম মিন নিসফি শাবান (শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাত) যা লাইলাতুল বরাত নামে খ্যাত। ফার্সী ভাষায় একে বলা হয় শবে বরাত। শব অর্থ রাত্রি এবং বরাত অর্থ মুক্তি। অতএব, শবে বরাতের অর্থ হলো, মুক্তির রাত। লাইলাতুল বরাতের পুণ্যময় রাতটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াতসহ ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে কাটান।
যেহেতু আল্লাহপাক এ রাতে বান্দাদেরকে ডেকে ডেকে রোগ-শোক, অভাব-অনটন, বিপদ-আপদ ও গোনাহ থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন, তাই এ রাতকে শবে বরাত বলা হয়। এ রাতে আল্লাহতায়ালা আগামী এক বছরের জন্য মানুষের হায়াত-মউত, ধন-দৌলত ইত্যাদির ফায়সালা করে থাকেন। অর্থাৎ আগামী এক বছরের জন্য কি বাজেট আছে তা লাউহে মাহফুজ থেকে ফিরিশতাদেরকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
মাহে শাবান এবং শবে বরাতের করণীয় সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন : ‘শাবান মাসের রোজা আমার নিকট অন্যান্য মাসের তুলনায় অধিক প্রিয়। যখন তোমাদের নিকট নিসফে শাবান তথা শবে বরাতের রাত্রি উপস্থিত হবে, তখন তোমরা সেই রাত্রিটি জাগরণ করবে। (নামাজ পড়ে, কোরআন তিলাওয়াত করে, তাসবীহ-তাহলীল আদায় করে, যিকির-আযকার করে, মৃতদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে, বালা-মুসিবত হতে মুক্তি কামনা করে, দোয়া-মোনাজাত করে ও বিভিন্ন ইবাদতের মাধ্যমে) এবং পরের দিন রোজা রাখবে।
কারণ এ রাত্রে আল্লাহপাক সুর্যাস্তের পর দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং প্রার্থনাকারী বান্দাদের প্রার্থনা কবুল করার ঘোষণা প্রদান করেন। এই ঘোষণা সুবহে সাদিক পর্যন্ত চলতে থাকে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ) তাই ১৪৪২ হিজরি সালের এই শবে বরাত মুসলিম মিল্লাতের জন্য একটি বড় নিয়ামত।